হামাসের সঙ্গে যুদ্ধে অত্যাধুনিক সব অস্ত্র ও সরঞ্জাম ব্যবহার করতে গিয়ে প্রতিদিন কোটি কোটি ডলার খরচ করতে হচ্ছে। গত ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এই যুদ্ধে দেশটির প্রতিদিন স্থানীয় মুদ্রায় ১০০ কোটি শেকেল বা ২৪ কোটি ৬০ লাখ ডলারের মতো খরচ হচ্ছে। ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ স্থানীয় রেডিও চ্যানেলে সাক্ষাৎকারে এই তথ্য জানিয়েছেন।
ইসরায়েল প্রথমে বিমান হামলা করলেও এটি স্থল হামলায় গড়িয়েছে। শক্তি প্রদর্শনের জন্যই বিস্তৃত পরিসরে ব্যয়বহুল এ হামলায় প্রতিদিনই শতশত ফিলিস্তিনি নিহত হচ্ছেন। প্রকাশিত ইসরায়েলি আক্রমণের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গাজার প্রায় ১৫ হাজার লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ চালানো হয়েছে।
গাজায় প্রতিদিন ৬০০ টন বোমা ফেলছে ইসরায়েল। এসব বোমা পরিবহনের জন্য বিশালকৃতির অন্তত ৩০টি লরির প্রয়োজন। প্রতি এক হাজার কেজি ওজনের বোমার জন্য মার্কিন বিমানবাহিনীর খরচ হয় ১৬ হাজার ডলার। অন্যদিকে ইসরায়েলকে অন্যান্য প্রযুক্তিগত খরচ বাদ দিয়ে প্রতি হাজার কেজি বোমার জন্য ব্যয় করতে হচ্ছে ২৫ হাজার ডলার।
এছাড়া এফ-১৬ বিমান উড়াতে প্রতি ফ্লাইটে এক ঘণ্টায় খরচ হচ্ছে আট হাজার ডলার। প্রতিদিন গড়ে যুদ্ধযানটি ৩০০টি ফ্লাইট দিলে ঘণ্টার হিসেবে এর খরচ দাঁড়ায় ২৫ লাখ ডলার। এ হিসাব মতে ইসরায়েলকে এখন পর্যন্ত এফ-১৬ বিমান উড়াতে খরচ করতে হয়েছে প্রায় সাত কোটি ৫০ লাখ ডলার।
এর সঙ্গে যুক্ত করতে হবে বোমা হামলাকে টিকিয়ে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় নজরদারি, পুনরুদ্ধার, ইলেকট্রনিক যুদ্ধ, আকাশে প্রাথমিক সতর্কীকরণ যানসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে আকাশচুম্বী খরচ।যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলের ক্ষতি হয়েছে ৮০০ কোটি ডলার। ইসরায়েলের অর্থ মন্ত্রণালয় গত মাসে যে পরিমাণে অর্থ ধার করেছে তার চেয়ে শতকরা ৭৬ ভাগ বেশি চলতি নভেম্বর মাসে ধার করবে।
ব্লুমবার্গের রিপোর্টে বলা হয়েছে, নেতানিয়াহু সরকার গাজা আগ্রাসনের জন্য অর্থের জোগান দিতে ক্রমেই বন্ডের দিকে ঝুঁকছে। গাজার বিরুদ্ধে আগ্রাসন ইসরায়েলের ৪৮৮ বিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে ভূমিকম্পের সৃষ্টি করেছে এবং ইসরায়েলের ভেতরে হাজার হাজার ব্যবসা বাধাগ্রস্ত করছে।এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে তিন লাখ ৬০ হাজার রিজার্ভ সেনার খরচ।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//

Discussion about this post