বরগুনার আলোচিত হৃদয় হত্যা মামলার রায় ঘোষণা হয়েছে আজ বেলা ১২.৩০ এর সময় । রায়ে ১৬ জন কিশোর অপরাধীকে ১২ কিশোর অপরাধীকে ১০ বছর ও ৪ জনকে ৭ বছরের মেয়াদে সাজা দিয়েছে আদালত।
আজ মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রায় ঘোষণা করেন শিশু আদালতের বিচারক ও সিনিয়র জেলা জজ মো. মশিউর রহমান খান।
এরআগে সকাল ৯ টায় বরগুনা জেলা কারাগার থেকে ১৬ কিশোরকে আদালতে উপস্থিত করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০২০ সালে ২৫ মে ঈদুল ফিতরের দিন বিকেলে বরগুনা সদরের গোলবুনিয়া এলাকায় নোমান কাজী, ইউনুস কাজীসহ ২৮ জন মিলে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করে কিশোর হৃদয়কে। পরের দিন নিহত মো. হৃদয়ের মা ফিরোজা বেগম বাদী হয়ে বরগুনা থানায় ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। বরগুনা থানা পুলিশ ওই বছরের ১৬ নভেম্বর ১৬ জন কিশোর ও ৯ জন প্রাপ্তবয়স্ক আসামির বিরুদ্ধে পৃথক দুটি চার্জশিট দাখিল করেন। পরে বাদির নারাজির প্রেক্ষিতে বিচারক আরো ৩ কিশোরসহ ১৯ জনের নামে চার্জ গঠন করেন। পরে এই মামলায় ১৮ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন আদালতে।
এরপর আজ ১৯ জন অভিযুক্তের রায় ঘোষণা করেন আদালত। রায়ে ইউনুছ কাজী, মো: রানা আকন, মো: ইমন হাওলাদার, জুয়েল কাজী, নয়ন হাওলাদার, মো. সজিব, নাজমুল শিকদার, রাইয়ান বিন অন্তর অরফে অন্তর, সিফাত ইসলাম, মো: মোশারেফ, মো: সাইফুল মৃধা, মো: রাব্বিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত। এদের মধ্যে নয়ন হাওলাদার, সিফাত ইসলাম ও মো. সজিব পলাতক রয়েছেন।
এছাড়াও সাগর গাজী, সাইফুল কাজী, সোহাগ কাজী
ও ফাইজুল ইসলামকে ৭ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। অপর ৩ আসামী শফিকুল ইসলাম, নাঈম কাজী ও রবিউল ইসলামকে বেখসুর খালাস দিয়েছে আদালত।
নিহত হৃদয়ের মা ও মামলার বাদী ফিরোজা বেগম বলেন, আমার একমাত্র ছেলেকে ইদের দিন ঘুরতে গেলে আাসামীরা পিটিয়ে হত্যা করে৷ আমি এ রায়ে খুশি। সবাই আমার মরহুম ছেলের জন্য দোয়া করবেন৷ আল্লাহ যেত ওকে জান্নাতে রাখে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল বলেন, শিশু আইন ২০১৩ অনুযায়ী অপরাধীদের সবোর্চ্চ সাজা প্রদান করেছে বিজ্ঞ আদালত। রায়ে আমরাসহ সাধারন মানুষ খুশি।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ/

Discussion about this post