মোঃ রাসেল, বরগুনাঃ বরগুনা জেলার সদর উপজেলার ৭ নং ঢলুয়া ইউপির ৮০০ জন সমুদ্রগামী জেলেদের মাঝে ভিজিএফএর ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে।
২৮ আগস্ট (রবিবার) দুপুর ১ টার দিকে ঢলুয়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের নীচে ৯টি ওয়ার্ডের সমুদ্রগামী জেলেদের মধ্যে ২ দিন ব্যাপি চাল বিতরণ কার্যক্রম সমাপনী অনুষ্ঠান করা হয়।
চাল বিতরণ কার্যক্রম সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি
ছিলেন ৭ নং ঢলুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আজিজুল হক স্বপন। চাল বিতরণের সমাপনী অনুষ্ঠানের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন , ট্যাগ অফিসার শওকাত হোসেন, উপজেলা মৎস কর্মকর্তার প্রতিনিধি মোঃ বেল্লাল হোসেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ৭ নং ঢলুয়া ইউনিয়ন সকল ইউপি সদস্য বৃন্দ এবং সুবিধা ভোগী গভীর সমুদ্রগামী জেলেরা।
সুবিধা ভোগী গভীর সমুদ্রগামী জেলে হারুন মৃধা বলেন, আমি ১৫ বছর যাবত গভীর সমুদ্রের মাছ শিকার করি। আজকে আমি ৩০ কেজি বিজিএফ চাল পেয়েছি। এই চাল পেয়ে আমি অনেক খুশি কারন এখন সমুদ্রে মাছ পাওয়া যাচ্ছে না এই কয়েকদিন আগে গভীর সমুদ্রে সৃস্ট নিম্নচাপের কারনে আমরা জেলে পরিবার না খেতে পেয়ে মারা যাওয়ার মত অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
৭ নং ঢলুয়া ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আজিজুল হক স্বপন বলেন, আজকে আমার ইউনিয়ন এর গভীর সমুদ্রগামী ৮০০ জেলেকে ৩০ কেজি করে মোট ২৪ মেট্রিক টন চাল বিতরন করেছি। এই তালিকার ৮০০ জেলের বাহিরে আরও অনেক গভীর সমুদ্রগামী জেলে আছেন আমার ইউনিয়নে। গভীর সমুদ্রগামী যে জেলেরাই এখানে এসেছেন চাল নিতে আমি কাউকে ফেরাই নি তালিকার বাহিরে যারা আছেন তাদেরকে আমি নিজ খরচে চাল কিনে দিয়েছি।আমার ইউনিয়নের এই জেলেদের তালিকা করা হয় ২০২০ সালে এর পরবর্তী সময়ে অনেক জেলে গভীর সমুদ্রে মাছ শিকারে যাচ্ছেনা। যারা গভীর সমুদ্রের মাছ শিকার করতে যাচ্ছে না তাদের নাম তালিকা থেকে বাদ দিয়ে নতুন করে যারা গভীর সমুদ্রে মাছ শিকারে যাচ্ছেন তাদের নাম দিয়ে মৎস অফিসে জমা দিয়েছি। আসা করি খুব শিগরই আমরা নতুন তালিকা হাতে পাবো এবং এই তালিকা থেকে কোন জেলে বঞ্চিত হবে না।
দৈনিক দেশতথ্য//এল//

Discussion about this post