পাইকগাছা উপজেলার গদাইপুরে সরকারি পুকুর থেকে বিনা অনুমতিতে মাছ ধরার ঘটনায় পরষ্পরকে দায়ী করে স্থানীয় সাবেক দু’ইউপি সদস্য বর্তমান সদস্যদের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
গত সোমবার (৯ মে) সোমবার সকালে পাইকগাছা প্রেসক্লাবে আয়োজিত প্রথম সংবাদ সম্মেলনে গদাইপুর গ্রামের আহম্মদ মীরের ছেলে মিজানুর রহমান টুটুল তার লিখিত বক্তব্যে দাবি করেন, গদাইপুরের ৮ নং ওয়ার্ড সদস্য আনিছুর রহমান ও ৭নং ওয়ার্ড সদস্য হারুনুর রশিদ হিরুসহ শাহ্ ওলি এর নেতৃত্বে আরো ২০/২৫ জনকে সাথে নিয়ে গত ২৩ এপ্রিল গদাইপুরস্থ সরকারী পুকুর থেকে আনুমানিক ৪ লক্ষাধিক টাকার মাছ ধরে নিয়েছে। এঘটনায় তিনিসহ অন্যান্যরা নিষেধ করলে তারা তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ ও জীবননাশের হুমকি দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে তারা ২৭ এপ্রিল জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ ৯টি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে তারা নিজেদের আতœরক্ষাসহ জানমালের নিরাপত্তায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
অন্যদিকে নিজেদের নির্দোষ দাবি, চুরি,হুমকি প্রদর্শনসহ বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা অভিযোগ দায়েরের ঘটনায় গত ১২ মে (বৃহস্পতিবার) পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছেন, গদাইপুর ইউপির যথাক্রমে ৭ ও ৮নং ওয়ার্ড সদস্য শেখ হারুনুর রশীদ হিরু ও অনিছুর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে বলেন, সরকারী পুকুর থেকে মাছ মারাকে কেন্দ্র করে গদাইপুরের মৃত দাউদ কারিকরের ছেলে সাবেক ইউপি সদস্য জবেদ আলী, শেখ আতাউর রহমান, কাজল ও মিজানুর রহমান টুটুল তাদেরকে জড়িয়ে সংবাদ দেওয়া বক্তব্য ও বিভিন্ন দপ্তরে দায়েরকৃত অভিযোগগুলি মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। মূলত সাবেক ইউপি সদস্য জবেদ অবৈধ সীমানা পিলার (পিন-ম্যাগনেট) ব্যবসা, চাঁদাবাজিসহ রাষ্ট্র ও সমাজ বিরোধী কর্মকান্ডে জড়িত থাকায় একাধিক মামলার আসামি। ইউপি সদস্য থাকাকালিন তার নামে নানাবিধ দ‚র্নীতির অভিযোগ রয়েছে। অন্যদিকে তার অপর সহযোগী সাবেক ইউপি সদস্য শেখ আতাউর রহমান একজন জুয়াড়ি, তক্কক ও গুুইসাপ ব্যবসায়ী।
আনিছুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, উপজেলার গদাইপুরস্থ জেলা পরিষদের সরকারি একটি পুকুরটিতে জনস্বার্থে পি,এস,এফ স্থাপনপূর্বক তা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। ইতোপূর্বে পুকুরটি ইজারা প্রদান করা হলেও বর্তমানে আশ-পাশের লোকজন সেখানে মাছ ছাড়ে। সর্বশেষ গত ২৩ এপ্রিল পুকুরটি থেকে মাছ ধরা হচ্ছে এমন খবরে তারা দু’ইউপি সদস্য সেখানে সরেজমিনে গিয়ে দেখে চলে আসেন। তারা সেখান থেকে কোন মাছ ধরেননি কিংবা ধরার সাথেও কোনভাবে সম্পৃক্ত নন। তাই মাছ চুরির প্রশ্নই আসেনা।
মূলত ঘটনাটিকে পুঁজি করে তাদের প্রতিদ্ব›িদ্ব সাবেক দু’ সদস্য তাদের সুনাম,সুখ্যাতি ও ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে বিভিন্নস্থানে মিথ্যাচার করে বেড়াচ্ছে। যা রীতিমত মানহানিকর। এব্যাপারে তারা তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনে প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
আর//দৈনিক দেশতথ্য//১৩ মে-২০২২//

Discussion about this post