কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে কুষ্টিয়ার ৩৫ হাজার খামারী এবছর কোরবানীর পশু প্রস্তুত করেছেন। দেশীয় পদ্ধতি ও প্রাকৃতিক পরিবেশে ক্ষুদ্র খামারী বা কৃষকরা গরু মোটাতাজা করেছেন। তবে গোখাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় অনেক কৃষক বড় গরু মোটা তাজাকরণ ছেড়ে ঝুঁকেছেন ছোট গরু পালনে।
শনিবার (২ জুলাই) সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কুষ্টিয়ায় এ বছর ছোট বড় ৩৫ হাজার খামারে ১ লক্ষ ৮০ হাজার কোরবানীর পশু প্রস্তুত হয়েছে। ভারত থেকে গরু না আসলেই তারা লাভের হিসাব কষার সুযোগ পাবেন।
দৌলতপুর উপজেলার দৌলতখালীর খামারী মজিবর রহমান জানান, এ বছর ছোট বড় ৪৫টি গরু প্রস্তুত করা হয়েছে। গরু কিনতে ব্যাপারীরা খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। গোখাদ্যের মূল্য বৃদ্ধির কারণে গরু পালনে খরচ বেশী হয়েছে। এবারও যদি লাভ না হয় তাহলে খামার বন্ধ করা ছাড়া উপায় থাকবেনা।
একই অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছেন সাদীপুর গ্রামের ক্ষুদ্র খামারী হুমায়ুন আহমেদ। তিনি জানান, দেশের বাইরে থেকে গরু না আসলে এবছর লাভের মুখ দেখার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, এবছরও কুষ্টিয়ার পশু স্থানীয় চাহিদা পূরণের পাশাপাশি দেশের কোরবানীর চাহিদা পুরণে সক্ষম হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. সিদ্দিকুর রহমান।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//জুলাই ০৩,২০২২//

Discussion about this post