দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী অধ্যক্ষ সৈয়দ নাসির উদ্দিন বলেছেন, ‘আমি আওয়ামীলীগের মনোনয়ন
পেয়ে এমপি নির্বাচিত হয়ে পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী) এলাকাকেআধুনিক স্মার্ট ও তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর একটি সংসদীয় আসন হিসেবে গড়ে তুলবো। উপকূলীয় শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করবো।’
আজ সোমবার বেলা ১১টায় পটুয়াখালীর কলাপাড়া প্রেসক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার
তৌহীদুর রহমান (সিআইপি) মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন করে আওয়ামী লীগের
মনোনয়ন প্রত্যাশা করে প্রার্থীতা ঘোষণা করেছেন পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী
লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ সৈয়দ নাসির উদ্দিন।
সৈয়দ নাসির বলেন, ‘স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিরা যাতে স্বাধীনভাবে কাজ
করতে পারে আমি সে পদক্ষেপ নেবো। ঘের দখল, চর দখল, জমি দখল সহ শালিস
বানিজ্য রোধ, স্লুইসগেট গুলো যাতে কৃষক সুবিধামতো ব্যবহার করতে পারে সে
পদক্ষেপ নেবো।’
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলার চাকামইয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. হুমায়ুন কবীর, টিয়াখালী ইউনিয়ন আওয়ামী
লীগের সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান, টিয়াখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি
সৈয়দ মোফাজ্জেল হোসেন, কলাপাড়া পৌর সভার ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড
শাখা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল লতিফ খালাসী, ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের
সহ-সভাপতি রাজিব তালুকদার, টিয়াখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক প্রচার
সম্পাদক আবদুর রশিদ মিয়া প্রমূখ।
সৈয়দ নাসির উদ্দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগ থেকে উচ্চ
শিক্ষা লাভ করেছেন। তিনি ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (হা-অ) কেন্দ্রীয়
কমিটির সহ-সভাপতি ও ১৯৮৪-১৯৮৮ সালে জহুরুল হক হল শাখার সভাপতির দায়িত্ব
পালন করেছেন।
সৈয়দ নাসির উদ্দিন তাঁর বিগত দিনের রাজনৈতিক কর্মকান্ডের বিবরণ তুলে ধরে
লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘আমি ১৯৭০ সালে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হই।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার পরে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পুনরায় খুললে
বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদে প্রথম যে মিছিল বের হয়, সে মিছিলেও আমি
অংশগ্রহন করি। এমনকি ১৯৭৫ পরবর্তি সময়ে কলাপাড়ায় আওয়ামী লীগকে সংগঠিত
করতে হাটে-বাজারে সভা-সমাবেশ করেছি। যার কারণে মামলা-হামলার শিকার হয়েছি
একাধিকবার।’
পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী) আসনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে দলের
মনোনয়ন পেতে তৎপরতা চালাচ্ছেন বর্তমান সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মো. মহিববুর
রহমান, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) সাবেক পরিচালক
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) মো. হাবিবুর রহমান, সাবেক পানিসম্পদ
প্রতিমন্ত্রী ও কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মাহবুবুর রহমান,
সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম মো. আনোয়ার উল ইসলামের পুত্র আওয়ামী লীগ
কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক আবদুল্লাহ আল ইসলাম (লিটন),
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক নীহার রঞ্জন
সরকার, যুব লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিনের সহ-সভাপতি মুরসালিন আহম্মেদ, যুব
লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ/

Discussion about this post