বিশেষ প্রতিনিধি : ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি অব্যবস্থাপনা ও স্বেচ্ছাচারিতার কারণেই স্বাধীকার থেকে স্বাধীনতা চত্বর টি দীর্ঘদিন ধরে কুষ্টিয়া মিউনিসিপ্যাল মার্কেটের ডাস্টবিনে পরিণত হয়েছে । পৌর কর্তৃপক্ষের দেখভালের অভাবে আজকের এই চত্বরটি নীরবে নিস্তব্ধ দাঁড়িয়ে থাকলেও এ যেন দেখভাল করার কেউ নেই।অথচ কুষ্টিয়া পৌরসভার ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করার জন্য প্রায় তিন শতাধিক কর্মী প্রতিনিয়ত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করলেও কারো নজরে পড়েনি স্বাধীকার থেকে স্বাধীনতার এই চত্বর টি। কারণ সেখানে নেই কোন অর্থ নেই কোন সুবিধা নেই কোন টাকা-পয়সা কেনই বা তাদের নজরে পড়বে এমন একটি চত্বর এমন প্রশ্নই ছিল সাধারণ মানুষের । শহরে আলোকসজ্জা করা হয়েছে শহরে ডিভাইডার করা হয়েছে সন্ধ্যা হলে লাল নীল বাতি জ্বলছে সবই সত্য শুধু সত্য হতে পারিনি স্বাধীকার থেকে স্বাধীনতা ।এই চত্বরে কখনো কোনদিন রং চং করা হয়েছে কিনা তাও সাধারণ মানুষ জানে না সেখানকার। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় ১৯৭১ সালে এই স্থানে পাকবাহিনী শক্তিশালী বোমা নিক্ষেপ করে এর ফলে সিরাজদৌলা সড়কসহ পৌর মার্কেট ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয় । চিহ্নিত স্থানটিকে ধরে রাখার কারণে কুষ্টিয়া পৌরসভা ও তৎকালীন নাগরিক কমিটির সমন্বয়ে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে স্বাধীনতার ইতিহাস তুলে ধরার নিমিত্তে এই চত্বর টি তৈরি করা হয়েছিল । অপ্রিয় হলেও বলা দরকার এই স্থানটি আজ যে কারণে তৈরি হয়েছে সেই কারণ ছাড়া অন্য কারনে ব্যবহার হচ্ছে। এর যথাযথ ব্যবহার প্রয়োজন এবং আজকের প্রজন্ম সেখান থেকে যেন নতুন করে কিছু জানতে পারে সেই ব্যবস্থা করাও উচিত বলে সচেতন মহল কুষ্টিয়া পৌর পিতার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ।
দৈনিক দেশতথ্য//এল//

Discussion about this post